top of page

ছাত্রজীবনে কেন খরগোশ পালন করা উচিত ?

এসআরবি খামার এর এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করবো “ ছাত্রজীবনে কেন খরগোশ পালন করা উচিত?” । কি কারণে এমনটা ধারনা করছে এসআরবি খামার ?



ছাত্রজীবনে খরগোশ পালন


আমরা জানি খরগোশ একটি চমৎকার সৌন্দর্য বর্ধিত প্রাণী । খরগোশ তার দারুন চনচলতা ও মৃদু স্বাভাবের জন্য স্থান করে নিয়েছে মানুষের সৌখিন প্রাণীগুলোর তালিকাতে । এদের গায়ের রং সাদা, কালো এবং বাদামী বা ধূসর হয়ে থাকে । খরগোশ এর শরীর ভীষণ নরম ও তুলতুলে হওয়ায় অনেকেই খরগোশ স্পর্শ করতে পছন্দ করেন  । তবে, আমাদের প্রসঙ্গ “ছাত্রজীবনে কেন খরগোশ পালন করা উচিত ?” তার ব্যাখ্যা খুজেঁ দেখা ।

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চিন্তাচেতনা ও চাকুরির বাজারে অবস্থা খুব একটা ভালো না । দিন যত যাচ্ছে ততটাই হিমসিম অবস্থায় পরছে যুবক সমাজ  । দিশাহীন হয়ে অনেকেই বিভিন্ন কর্মকে বেছে নিচ্ছেন যোগ্যতার বিপরীতে । আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগ সময় ব্যয় করে বিভিন্ন অলাভজনক কাজে । তবে তারা যদি তাদের মূল্যবান সময়কে কাজে লাগিয়ে পড়া-লেখার পাশাপাশি এগিয়ে যায় তবে সেটা তাদের ভবিৎষতের জন্য সোনার হরিণের থেকেও কম হবে না ।

 

বাংলাদেশের অনেকেই শখের বসে খরগোশ পালন করেন । তবে, এই শখের খরগোশ যদি ছোট্ট পরিসের ছাত্রজীবনে বাণিজ্যিক ভাবে পালন করা যায় তবে এটা হতে পারে একটি আয়ের উৎস । অন্য অন্য প্রাণীদের মতো খরগোশ পালনে তেমন কোনো জামেলা নেই । তবে, খরগোশ এর জন্য একটি নিরাপদ স্থান প্রয়োজন । যেখানে তারা বাধাহীন ভাবেই চলতে পারে এবং বাচ্চা প্রসবে উৎসাহ পায় । আপনি জেনে হয়তো খুশি হবেন একটি প্রাপ্ত বয়স্ক খরগোশ প্রায় ৪০ দিন পরপর বাচ্চা প্রসব করে এবং প্রতি জোড়া বাচ্চার দাম বাংলাদেশী টাকায় ৪০০-৫০০ বা ৬০০ টাকা (দেশিও জাতের) ।

 

আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় এই রকম উদ্যোগ গ্রহন করতে পারেন তবে আপনি আপনার ভবিৎষতকে বাধাহীন একটি পথে এগিয়ে দিচ্ছেন । যেখানে আপনার কাছে থাকবে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক বা কমিউনিটি । যারা আপনাকে সর্বদা সার্পোট করবে এবং আপনাকে উৎসাহ যোগাবে । ভবিৎষতে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ব্যবসায়ী ।

 

কেন শিক্ষার্থী অবস্থায় খরগোশ পালন করা উচিত ?

আমরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আমাদের শিক্ষা জীবনে পরিবারে উপরেই নির্ভর করে থাকি । কিন্তু বিশ্বের উন্নয়শীল ও উন্নত রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পারি একজন উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যায়ন করা ছাত্র বা ছাত্রী আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করতেছে । তারা তাদের অবসর সময়ে বিভিন্ন ক্যাফে, রেস্তরা, হোটেল এবং অন্য অন্য খাতে কাজ করতেছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে । তবে আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো ? আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তবে আপনি খরগোশ পালনে মাধ্যমে নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারেন এবং সেই সাথে পরিবারকেও আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে পারেন । আপনি চাইলে নিজের খামার এর সকল আপডেট ফেসবুক, ইউটিউব ও স্যোশাল মিডিয়াগুলোকে শেয়ার করতে পারেন এবং অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন ।


খরগোশ পালনের সুবিধা ও লাভজনক দিন সমূহ :

  • খরগোশ খামার গড়তে খুব বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন নেই ।

  • খরগোশ খুব সল্প জায়গাতেই পালন করা যায় ।

  • খরগোশ ঘাস ও লতা-পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে । তাই বাড়তি কোনো খরচ নেই ।

  • খরগোশ এর রোগ বালাই নেই বলতেই চলে ।

  • খরগোশ এর উৎপাদনশীলতা বেশি ।

  • বর্তমানে বাংলাদেশে খুব বেশি মানুষ এই সেক্টরে কাজ করতেছে না । তাই একটা খরগোশ পালনে খুব বেশি প্রতিযোগিতা নেই ।

  • আন্তজাতিক বাজারে খরগোশ এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে ২.৩% বৃদ্ধি পাবে ।

  • খরগোশ এর মাংস স্বাস্থ্যকর ও হালাল তাই খাওয়া যায় এবং বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকানগুলোকে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে ।



Comments


bottom of page